ক্যারিবিয়ান সাগরে এক অভিযানে ছয়জন সন্দেহভাজন “নার্কো-সন্ত্রাসী” নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। শুক্রবার এক্স (X)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এটি ছিল প্রথম রাতের হামলা।
হেগসেথ জানান, ট্রেন দে আরাগুয়া গ্যাং পরিচালিত একটি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। তিনি প্রমাণ না দিলেও প্রায় ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে নৌযানটিকে পানিতে ভাসতে দেখা যায় এবং পরক্ষণেই সেটি বিস্ফোরিত হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেন, তার প্রশাসন শিগগিরই কংগ্রেসকে এইসব অভিযানের বিষয়ে অবহিত করবে। তিনি জানান, “আমাদের যুদ্ধ ঘোষণা প্রয়োজন নেই,” তবে পরবর্তী লক্ষ্য হবে স্থলভাগে মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।
মার্কিন সামরিক বাহিনী সম্প্রতি ক্যারিবিয়ানে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। সেখানে এখন রয়েছে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং কয়েক হাজার সৈন্য।
এই হামলাসহ যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরে এখন পর্যন্ত ১০টি অভিযানে প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করেছে। পেন্টাগন এসব অভিযানের বিস্তারিত না জানালেও কিছু হামলা ভেনেজুয়েলার উপকূলে হয়েছে বলে জানায়।
এই ধারাবাহিক হামলা নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞ ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, এসব অভিযান যুদ্ধ আইন মেনে পরিচালিত হচ্ছে কি না।
গত সপ্তাহে রয়টার্স জানায়, মার্কিন হামলা থেকে দুই সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী জীবিত বেঁচে যান। পরে তাদের উদ্ধার করে একটি মার্কিন নৌযানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরত পাঠানো হয়।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে। ওয়াশিংটন সম্প্রতি তার গ্রেপ্তারের তথ্যের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে মাদক পাচার ও অপরাধী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ করেছে, যা মাদুরো অস্বীকার করেছেন।
