Saturday, July 12, 2025
Homeআন্তর্জাতিকরুশ জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ৫০০% শুল্ক প্রস্তাব, মার্কিন সিনেটে নতুন বিল...

রুশ জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ৫০০% শুল্ক প্রস্তাব, মার্কিন সিনেটে নতুন বিল ঘিরে উদ্বেগ

রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানির কারণে ভারতের ওপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে মার্কিন সিনেটে। ডেমোক্র্যাট সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল এই বিলের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন, যা নিয়ে ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপ তৈরি হয়েছে।

এক্স-এ পোস্ট করা এক ভিডিওতে ব্লুমেনথাল বলেন, “আমি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে রোমে বৈঠক শেষে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের রাশিয়া-বিরোধী বিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, যা চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোর ওপর কঠিন শাস্তির বিধান রাখে যারা রুশ তেল কিনে যুদ্ধ যন্ত্রকে শক্তিশালী করছে।”

ব্লুমেনথাল রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে মিলে বিলটি উত্থাপন করেন। এই বিলটি এপ্রিলে সিনেটে তোলা হয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে আরও গুরুত্ব পায়, যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান তিনি যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় রাশিয়াকে চাপ দিতে এই বিল বিবেচনা করছেন।

এদিকে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের বৃহৎ বাণিজ্য সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আনন্তা অ্যাসপেন সেন্টারের উপ-পরিচালক প্রেরণা বউত্রা বলেন, “এই বিল পাশ হলে তা বিদ্যমান চুক্তিকে ছাড়িয়ে যাবে। এমনকি কোনও ‘মিনি চুক্তি’ থাকলেও মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যাবে না।”

তিনি আরও জানান, “বিলে সিনেটে ৮৪ জন কো-স্পনসর থাকলেও প্রতিনিধি পরিষদে এখনো সমর্থন ৩৩ জনের বেশি নয়। ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, যদিও কংগ্রেসের সদস্যরা ডিসিতে ফিরবেন কেবল অধিবেশন শুরুর কয়েকদিন আগে।”

মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, বিলটি পাস হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দিষ্ট কিছু দেশকে ছয় মাসের জন্য দুইবার ছাড় দেওয়ার অধিকার পাবেন।

এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যেই সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিল শুধু অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সম্পর্কেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এমন সময়ে এই উত্তেজনা বাড়ছে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান এবং বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা বিদ্যমান।

RELATED NEWS

Latest News