যুক্তরাষ্ট্র সিনেট বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত এক বিল অনুমোদন করেছে, যার ফলে ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি সাহায্য ও পাবলিক ব্রডকাস্টিং খাতে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
এই পদক্ষেপটিকে এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বিভাগের (DOGE) ব্যয় সাশ্রয়ের পরিকল্পনার প্রথম বাস্তবায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিলটি সিনেটে পাস হয় ৫১-৪৮ ভোটে, যদিও এটি কিছু রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে পড়ে।
এর আগে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস জুনে একটি সংস্করণ পাস করেছিল, যেখানে পিপফার (PEPFAR) প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ ৪০০ মিলিয়ন ডলার কেটে দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু মধ্যপন্থী রিপাবলিকানদের আপত্তিতে সেটি বাদ দেওয়া হয়।
সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, “আমি বিদেশি সাহায্যের পক্ষপাতি, তবে সেই সাহায্য যদি অপ্রয়োজনীয় ও উদ্দেশ্যবিচ্যুত হয়, তাহলে তা সমর্থন করা কঠিন হয়ে পড়ে।”
এই বিলের ফলে USAID-এর মত মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য অনুমোদিত বাজেট থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কেটে নেওয়া হবে।
পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন, যা এনপিআর ও পিবিএস-এর মতো চ্যানেল পরিচালনা করে, সেখান থেকেও ১ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে মে মাসে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে ফেডারেল ফান্ডিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এসব কাটছাঁট প্রকৃতপক্ষে ঘাটতি হ্রাসে কার্যকর হবে না, বরং নির্ভরযোগ্য তথ্য উৎস ধ্বংস করে দেবে।
নিউ জার্সির সিনেটর কোরি বুকার বলেন, “এটি আমাদের সংবিধানের আদর্শকে ক্ষুণ্ণ করছে। আমাদের সংসদের ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। বাজেট উন্নয়নে দুই পক্ষ মিলে কাজ করা উচিত ছিল।”
এই বিল এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার হাউজে যাবে। শুক্রবারের মধ্যে কংগ্রেস এই কাটছাঁট অনুমোদন না দিলে হোয়াইট হাউসকে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এই ধরনের “রিসিশন প্যাকেজ” আইন পাস হওয়া মার্কিন ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল ঘটনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।