Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকমার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি বললেন, ‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, লক্ষ্য শুধু পারমাণবিক কর্মসূচি’

মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি বললেন, ‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, লক্ষ্য শুধু পারমাণবিক কর্মসূচি’

মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে আগ্রহ নেই, শান্তির জন্য শক্তির মাধ্যমে সুরক্ষা নিশ্চিত করার বার্তা

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, দেশটি ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি, বরং লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিষ্ক্রিয় করা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার অনুমোদন দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে বক্তব্যে এসব বলেন ভ্যান্স।

এনবিসির “মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার” অনুষ্ঠানে ভ্যান্স বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে নেই। আমরা যুদ্ধ করছি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে।”

ভ্যান্স আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে জড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নয়। এবিসি নিউজের “দিস উইক” অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে বলেছেন, আমরা দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত চাই না।”

তবে শান্তি অর্জনের পথ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেই প্রশ্নে ভ্যান্স বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, শক্তির মাধ্যমেই শান্তি অর্জন সম্ভব।”

ট্রাম্পের অনুগত কিছু সমর্থক যারা মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন, তাদের উদ্দেশে ভ্যান্স বলেন, “এই পদক্ষেপ কোনো বৃহৎ সামরিক অভিযানের সূচনা নয়। আমাদের কৌশল নির্দিষ্ট ও সীমিত ছিল।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা খুব সুনির্দিষ্টভাবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করেছি। এতে ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির সম্ভাবনা বাড়বে।”

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভ্যান্স বলেন, “প্রেসিডেন্টই সবচেয়ে বেশি চিন্তিত দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সংঘাত নিয়ে। এ ধরনের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়াতে চায় না।”

তথ্যসূত্র হিসেবে কোন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নে ভ্যান্স বলেন, “আমাদের সামনে একটি সংকীর্ণ সময়সীমা ছিল। হয়তো ছয় মাস পর আমরা আর এই পদক্ষেপ নিতে পারতাম না।”

ভ্যান্স আরও বলেন, “আমরা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর যেমন আস্থা রাখি, তেমনি আমাদের অভিজ্ঞতা ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণের ওপরও নির্ভর করি। ইরান সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করে দেয় – সেটিই ছিল মূল কারণ।”

ভ্যান্স জানান, ট্রাম্প ইরানকে কিছু ‘ব্যক্তিগত চূড়ান্ত প্রস্তাব’ দিয়েছিলেন। যদিও তিনি এসব প্রস্তাবের বিস্তারিত জানাননি।

এর আগে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন আলোচনার জন্য এবং ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছিলেন যেন তারা হামলা স্থগিত রাখে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ভাষ্যমতে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা রুখে দিতেই এই সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

RELATED NEWS

Latest News