পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে তিন দফা হামলায় চারটি সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানকারী নৌকা ধ্বংস করে ১৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সব হামলাই আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত হয়েছে এবং কোনো মার্কিন সদস্য হতাহত হয়নি। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ৫৭ তে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে এমন হামলা চালিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪টি নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে। হেগসেথ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত নৌযানগুলো পরিচিত চোরাচালান রুটে চলছিল এবং মাদক বহন করছিল।
পেন্টাগনপ্রধানের পোস্টে সংযুক্ত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, প্রথম হামলায় পাশাপাশি নোঙর করা দুটি নৌকাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। পরবর্তী দুই হামলায় উন্মুক্ত জলে দ্রুতগতির নৌযানকে আঘাত করা হয়। হেগসেথ আরও জানান, একজন জীবিত থাকার খবর মিলতেই ইউএস সাউদার্ন কমান্ড তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান শুরু করে এবং মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয়ের দায়িত্ব নেয়। ওই ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দেননি। মাদকচক্র মোকাবিলায় অবস্থান জানাতে তিনি বলেন, “We will track them, we will network them, and then, we will hunt and kill them.”
আইনবিশেষজ্ঞদের একাংশ এই হামলাগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাদকবিরোধী অভিযানে এই সক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
একই সঙ্গে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সাতটি নৌযুদ্ধজাহাজ ও এফ ৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের পাশাপাশি ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপও এ অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। এর জেরে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে। ভেনেজুয়েলা অভিযোগ করেছে, ওয়াশিংটন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে। মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রকে “যুদ্ধের নাটক সাজানোর” অভিযোগও করেছেন।
