ভারতে নতুন নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। শনিবার রাতে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় উষ্ণ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। শুল্ক বৃদ্ধি, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জটিলতা এবং এইচ-১বি ভিসার জন্য বার্ষিক ১ লাখ ডলার ফি আরোপের মতো বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করেছে।
সার্জিও গর বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ নিয়েও কথা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং আমি আগামী দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী।”
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে লিখেছেন, “সার্জিও গরের সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি, তাঁর মেয়াদকালে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে।”
রাষ্ট্রদূত গর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং শীর্ষ কূটনীতিক বিক্রম মিস্রির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের নেতারা কিছুটা নরম অবস্থান নিয়েছেন। মোদি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “ঐতিহাসিক গাজা শান্তি পরিকল্পনার সফলতা”র জন্য অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে “ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও স্বাভাবিক অংশীদার” হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারতের জন্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার সুযোগ তৈরি করেছে। ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ঠান্ডা হয়ে আছে, যদিও বাণিজ্যিক সহযোগিতা পুনরায় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এখনো পর্যন্ত শুল্ক কমানো বা কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।