জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার হাইতিতে সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক মিশনের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। প্রস্তাবটি ১৫ মাস বয়সী, কর্মী ও তহবিল কম থাকা মিশনকে সম্প্রসারণের সুযোগ দিচ্ছে। তবে চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান ভোটে বিরত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রকে সমালোচনা করেছে।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-আ-প্রিন্সে সশস্ত্র গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণ ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ১৩ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শিশুরা গ্যাংয়ের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য বলে ইউনিসেফ জানাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ দূত মাইক ওয়াল্টজ জানান, “গ্যাং সহিংসতার এই বিস্তার হাইতি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করেছে।”
নতুন সম্প্রসারণকৃত মিশন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও তহবিলের ওপর নির্ভর করবে, তবে নেতৃত্ব কাঠামো আলাদা হবে। এটি কর্মী পাঠানো দেশগুলোর প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দ্বারা পরিচালিত হবে এবং নতুন একটি ফিল্ড অফিস থাকবে।
বর্তমান কেনিয়া-নেতৃত্বাধীন মাল্টিন্যাশনাল সিকিউরিটি সাপোর্ট মিশনের চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে অতিক্রম করা যাবে তা এখনো অনিশ্চিত। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো জানিয়েছেন, মিশন কর্মী ও লজিস্টিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রশংসা করেন, তবে সরবরাহকৃত যানবাহনগুলো অর্ধেক-ব্যবহৃত হওয়ায় বারবার ভেঙে গেছে বলেও উল্লেখ করেন।
রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র হাইতিতে অস্ত্রপ্রবাহ বন্ধ করতে ব্যর্থ এবং প্রাথমিক মিশনের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল প্রদান করেনি। রাশিয়ার জাতিসংঘ দূত ভ্যাসিলি নবেনজিয়া বলেছেন, “যদি পূর্বের প্রতিশ্রুত তহবিল না দেওয়া হয়, নতুন মিশনে কী গ্যারান্টি আছে?”
চীনের জাতিসংঘ দূত ফু কং জানিয়েছেন, হাইতির গুরুতর নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা ভোটে ভেটো করেনি। তবে তিনি বলেন, “আমাদের উদ্বেগ এবং প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে। আমরা নতুন মিশনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
যুক্তরাষ্ট্রের হাইতি অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে চলমান মিশনের তহবিল নিশ্চিত হবে না।
হাইতিতে নতুন মিশন সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন সশস্ত্র গ্যাং নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির নিরাপত্তা পুনঃস্থাপনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
