Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকরাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, প্রতিক্রিয়ায় পুতিনের সুপার অস্ত্রের হুমকি

রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, প্রতিক্রিয়ায় পুতিনের সুপার অস্ত্রের হুমকি

রবিবার গভীর রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই হামলায় পাঁচটি রুশ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়, ধ্বংস হয় অন্তত ৪০টির মতো সামরিক বিমান, যার মধ্যে বেশিরভাগই ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম বোমারু বিমান ছিল।

এই ঘটনা শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, কূটনৈতিক ও সামরিক চিত্রেও বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিশেষ করে এটি রাশিয়ার পরমাণু প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘সুপার অস্ত্র’ ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার কাছে এখনো কয়েকটি ভয়ঙ্কর অস্ত্র মজুদ রয়েছে, যেগুলো এখনো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যাভানগার্ড: হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল

  • বুরভেস্তনিক: পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্রুজ মিসাইল

  • জিরকন: স্ক্র্যামজেট চালিত হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল

  • কিনজাল: হাইপারসনিক এয়ার-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল

  • পসেইডন: পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন সাবমেরিন

  • সারমাত: সুপারহেভি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল

এছাড়া একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া নতুন একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অর্ডিশনিক’ ব্যবহারের পরিকল্পনাও করছে, যা অতীতে বড় আকারের সামরিক প্রতিশোধে ব্যবহৃত হয়েছিল।

এই হামলার পর যুদ্ধ শুধুই মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সেটিও স্পষ্ট। সাইবার হামলা, তথ্য যুদ্ধে উত্তেজনা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। একই সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা কম হলেও, রাশিয়ার পক্ষ থেকে হুমকিমূলক বক্তব্য আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:

বিশ্ব রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, ন্যাটো দেশগুলো এখন রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক আলোচনাগুলো সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ নেই। বরং এই আক্রমণের পর পরবর্তী ধাপে রাশিয়ার আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বিশ্লেষক বেন আরিস জানান, “এই হামলায় রাশিয়ার সামগ্রিক পরমাণু ক্ষমতা খুব একটা কমে যাবে না। কারণ রাশিয়ার আছে পাঁচ হাজারের বেশি পারমাণবিক মিসাইল এবং বহু ধরনের ডেলিভারি সিস্টেম।” তার মতে, ইউক্রেন সাহসিকতার সঙ্গে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালালেও, যুদ্ধের বড় ধাপ এখনো সামনে।

বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। এই সংঘাত কীভাবে রূপান্তরিত হবে, সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

RELATED NEWS

Latest News