ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা আর নারীদের পেশাদার ফুটবলে অংশ নিতে পারবেন না। এ সিদ্ধান্ত এসেছে দেশটির সুপ্রীম কোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ের পর, যেখানে নারীর সংজ্ঞাকে ‘জৈবিক লিঙ্গ’ নির্ভর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) তাদের পূর্ববর্তী অবস্থান পরিবর্তন করে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এই সিদ্ধান্তকে ‘বেদনাদায়ক’ বলছেন অনেক ট্রান্স খেলোয়াড়, যারা দীর্ঘদিন ধরে ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে লন্ডনের একটি ক্লাব, গোল্ড ডিগারস এফসি, এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত গোল্ড ডিগারস এফসি মূলত নারী ও নন-বাইনারি খেলোয়াড়দের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ট্রান্সজয়কে ক্লাবটির মূলনীতি হিসেবে বিবেচনা করে ক্লাবটি।
ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা জানান, “ফুটবলে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। যেকোনো লিগ যদি এফএ-এর এই রায় মেনে চলে, তবে আমরা সেই লিগ ত্যাগ করব। আমরা ইতিমধ্যেই একটি লিগ থেকে বেরিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতেও এমন সিদ্ধান্তে আমরা আপোষ করব না।”
ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে জানানো হলেও, ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। সমতার প্রশ্নে এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করছেন।
গোল্ড ডিগারস এফসি মনে করে, খেলাধুলা কেবল প্রতিযোগিতা নয়, বরং অন্তর্ভুক্তি, নিরাপত্তা ও আত্ম-প্রকাশের মাধ্যম। তাই তারা তাদের অবস্থানে অনড়। ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের জন্য একে এক নতুন লড়াই হিসেবেই দেখছেন ক্লাবের সদস্যরা।
এই বিতর্ক নতুন করে ফুটবল এবং বৃহত্তর ক্রীড়াজগতে লিঙ্গ পরিচয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এফএ ভবিষ্যতে কী ধরনের নীতিমালা প্রকাশ করে এবং তা কতটা মানবিক ও গ্রহণযোগ্য হয়।