যুক্তরাজ্য সরকার দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন শিল্প কৌশল ঘোষণা করেছে। সোমবার প্রকাশিত এই ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় আটটি মূল খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত নির্মাণ, সৃজনশীল শিল্প, জীববিজ্ঞান, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, ডিজিটাল ও প্রযুক্তি, আর্থিক সেবা এবং পেশাগত সেবা।
নতুন কৌশলের আওতায় সরকার ব্যবসায়িক খরচ কমানো, উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন বাড়ানো এবং উচ্চমানের চাকরি তৈরির পরিকল্পনা করেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এই শিল্প কৌশলকে “ব্রিটেনের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “ব্রিটেন আবার ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।”
প্রধান পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে:
বিদ্যুৎ-নির্ভর শিল্পগুলোর জন্য বিদ্যুৎ খরচ ২০২৭ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো
ব্রিটিশ বিজনেস ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা £২৫.৬ বিলিয়নে বৃদ্ধি করে এসএমই ও হাই-গ্রোথ কোম্পানিগুলোর জন্য অর্থায়ন উন্মুক্ত করা
গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বার্ষিক £২২.৬ বিলিয়ন বরাদ্দ
নিয়ন্ত্রণ বোঝা ২৫ শতাংশ হ্রাস এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংখ্যা কমানো
অভিবাসন সংস্কার ও গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিভা আকর্ষণ
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের সঙ্গে যৌথ শিল্প অংশীদারিত্ব জোরদার করা
এই কৌশল যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এই কৌশলকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের সুযোগ বলে উল্লেখ করেছেন।