Monday, September 15, 2025
Homeআন্তর্জাতিকতুরস্কে বিরোধী দল সিএইচপি’র নেতৃত্ব সংকট নিয়ে আদালতে শুনানি

তুরস্কে বিরোধী দল সিএইচপি’র নেতৃত্ব সংকট নিয়ে আদালতে শুনানি

ভোট কেনাবেচার অভিযোগে মামলার শুনানি শুরু, সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ভোট কেনাবেচার অভিযোগে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)-এর নেতৃত্ব নিয়ে সোমবার আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আঙ্কারার ডিসকাপা আদালতে এ শুনানি শুরু হয়। এ সময় ছোট কোর্টরুমটি সাংবাদিক ও আইনজীবীতে ভরে যায়, অনেকে ভেতরে প্রবেশের সুযোগও পাননি। শুনানির গুরুত্ব উল্লেখ করে সিএইচপি’র আইনজীবী উগুর পোইরাজ বিচারককে বলেন, “আপনার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, লাখো মানুষ এটি পর্যবেক্ষণ করছে।”

এর আগে রোববার আঙ্কারার তানদোগান স্কয়ারে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। হাজারো মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেন। সমালোচকরা বলছেন, এ মামলার মাধ্যমে শুধু সিএইচপি নয়, তুরস্কের গণতন্ত্রই হুমকির মুখে পড়তে পারে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সিএইচপি’র কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে এই মামলা হয়। ওই কংগ্রেসে দীর্ঘদিনের নেতা কেমাল কিলিচদারওলুকে সরিয়ে বর্তমান নেতা ওজগুর ওজেলকে নির্বাচিত করা হয়। মামলায় ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে।

আদালত যদি মামলাকারীদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে ওজগুর ওজেল দলীয় নেতৃত্ব হারাতে পারেন। তবে সিএইচপি জানিয়েছে, তারা ২১ সেপ্টেম্বর বিশেষ কংগ্রেস ডেকেছে। আদালত নেতৃত্ব বাতিল করলে নতুন ভোটে পুনরায় ওজেলকে নির্বাচিত করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।

শুনানির বাইরে কড়া নিরাপত্তা ছিল। শত শত দাঙ্গা পুলিশ বাসে অবস্থান নেয়। আদালতের ভেতরেও পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

অভিযোগে সিএইচপি’র শীর্ষ নেতা ইমামোগলুসহ অন্তত ১০ জন মেয়র ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি চাওয়া হয়েছে। যদিও সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা সংসদীয় কমিটি দেখছে, কারণ তাদের সংসদীয় ইমিউনিটি রয়েছে।

ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু এ মামলাকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার এক unrelated মামলায় আদালতে হাজিরার পর তিনি বলেন, “এটি শুধু সিএইচপি’র বিষয় নয়, বরং তুরস্কে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, সেটাই প্রশ্ন।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ মামলার ফল শুধু সিএইচপি নয়, দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর ইস্তাম্বুল শাখার নেতৃত্ব বাতিলের রায়ের পর শেয়ারবাজারে ৫.৫ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছিল।

সিএইচপি অভিযোগ করেছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদলকে দুর্বল করতে এই মামলা করছে। আরেকদিকে ওজগুর ওজেল তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, “এটি একটি রাজনৈতিক মামলা, মিথ্যা অভিযোগ। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করব।”

  • বিষয়াদি সম্পর্কে আরও পড়ুন:
  • তুরস্ক

RELATED NEWS

Latest News