Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকদুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ টিউলিপ সিদ্দিকের

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ টিউলিপ সিদ্দিকের

বাংলাদেশে মামলার প্রেক্ষিতে "ভুল বোঝাবুঝি" নিরসনে বৈঠক চান যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী

বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলমান বিতর্ক নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক।

টিউলিপ সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার দাবি, বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের (দুদক) করা অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া “ভুল বোঝাবুঝি” দূর করতেই এ বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় টিউলিপ বা তার মা শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমি পাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

টিউলিপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা অভিযোগগুলোকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, “আমি আশা করি এই বৈঠকটি ঢাকার দুর্নীতিবিরোধী কমিটির perpetuated করা ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছি এবং গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই।”

টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পক্ষ থেকে তার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। বরং একটি এলোমেলো ঠিকানায় বারবার চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “এই কাল্পনিক তদন্তের প্রতিটি ধাপই গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, অথচ আমার আইনি দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হচ্ছে না।”

এর আগে বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দাবি অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।

টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত smear campaign-এর মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

গত মাসে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর প্রকাশিত হয়। তবে টিউলিপ দাবি করেছেন, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই এবং তাকে কোনো শুনানির জন্য তলবও করা হয়নি।

২০১৩ সালে তার মস্কো সফর নিয়েও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। তখন তার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি সই হয়। তবে এই বিষয়ে তদন্তকারী স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাডভাইজার তার ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন যে তিনি সেবার ব্যক্তিগত সফরে ছিলেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের লন্ডনের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে, যার সঙ্গে শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নাম জড়ানো হয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিক আশাবাদী, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে এই বৈঠকের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির সুরাহা হবে এবং তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব নির্ভারভাবে পালন করতে পারবেন।

RELATED NEWS

Latest News