Sunday, July 20, 2025
Homeআন্তর্জাতিকব্রিকসকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প, বললেন 'ডলার নিয়ে খেললে ১০০ শতাংশ শুল্ক'

ব্রিকসকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প, বললেন ‘ডলার নিয়ে খেললে ১০০ শতাংশ শুল্ক’

ব্রিকসের মুদ্রা পরিকল্পনা নিয়ে কড়া অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের, ভারতের অবস্থান তুলনামূলক নরম

ওয়াশিংটনে এক নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল সই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ব্রিকস জোটকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ব্রিকসের কথা শুনলেই আমি আঘাত করি। ওরা যদি আসলেই গঠনমূলকভাবে এক হয়, তাহলে তা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।”

এর আগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় ব্রিকস নেতারা। ওই বিবৃতিতে ইরানে মার্কিন সামরিক হামলা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির বিরোধিতা করা হয়। এর জবাবে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা করেন, ব্রিকস দেশের রপ্তানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ক্ষোভের বিষয় হচ্ছে, ব্রিকস জোটের উদ্যোগে মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে অবস্থান দুর্বল করার প্রচেষ্টা। “ওরা যদি ডলারের সঙ্গে খেলা করতে চায়, তাহলে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে,” বলেন তিনি।

এছাড়া, জানুয়ারিতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এসব দেশের কাছ থেকে অঙ্গীকার চাই যে তারা কোনো নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না কিংবা অন্য কোনো মুদ্রাকে ডলারের বিকল্প হিসেবে আনবে না। না হলে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বন্ধ হয়ে যাবে।”

তবে ভারতের অবস্থান এই বিষয়ে অনেকটাই সংযত। গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থায় ডলারের অবস্থান দুর্বল করতে চায় না। বরং ব্রিকসের মধ্যে জাতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে ভারত।

এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যৌথ মুদ্রা পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানালেও, ভারত সে পথ থেকে সরে আসে।

শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, “আমরা যদি ডলারের অবস্থান হারাই, সেটা হবে যেন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশ্বযুদ্ধে হেরে গেছে।”

প্রসঙ্গত, ব্রিকস জোটের সূচনা হয়েছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে। ২০২৩ সালে এটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১১টি দেশ করা হয়। এই সম্প্রসারণ এবং ভারতের সদস্যপদ নিয়ে ওয়াশিংটনের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লাটনিক মার্চ মাসে এক বক্তব্যে বলেন, “ব্রিকসে ভারতের সদস্যপদ আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটি বাধা।”

বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্য নতুন করে আঁকার চেষ্টায় ব্রিকস ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

RELATED NEWS

Latest News