মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও মাদকপথ লক্ষ্য করে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি এখনো এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি, তিনজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্যারিবিয়ানে ৪,৫০০ মার্কিন মেরিন এবং নৌ-বিমান শক্তি মোতায়েন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে জেরাল্ড আর. ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ, গাইডেড মিসাইল ধ্বংসক, আক্রমণকারী সাবমেরিন, বিশেষ অপারেশন জাহাজ ও পর্যবেক্ষণ বিমান।
সেইসাথে পুয়ের্তো রিকোতে ১০টি এফ-৩৫ যোদ্ধা বিমান এবং তিনটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। নেভাল স্টেশন রুজভেল্ট রোডস পুনরায় চালু করা হয়েছে।
ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় স্থলাভিযান করার সম্ভাবনা উসকে দিয়েছেন, যদিও কংগ্রেসের অনুমোদন বা অন্তত সংবিধানিক ব্রিফিং প্রয়োজন হতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, তিনি যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়াই ড্রাগ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে পারেন।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে নরকো-টেরোরিজম ও কোকেন পাচার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলা কোকেন উৎপাদনের প্রধান উৎস নয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কিছু মাদকপথ লক্ষ্য করছে, এবং এটি মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। একই সঙ্গে প্রশাসন কূটনৈতিক বিকল্পও বিবেচনা করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বলেছেন, ক্যারিবিয়ানে মোতায়েন করা শক্তি ট্রান্সন্যাশনাল ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন এবং নরকো-টেরোরিজম মোকাবেলায় ব্যবহার হবে।
