Monday, November 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকচীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প, শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প, শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি

বিরল খনিজ রপ্তানিতে চীনের বিধিনিষেধ ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা পদক্ষেপে নতুন করে অস্থিরতা বিশ্ববাজারে

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে আবারও উত্তেজনা তৈরি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সতর্ক করেছেন, চীনা পণ্যের ওপর “বিপুল পরিমাণে শুল্ক বৃদ্ধি” করা হতে পারে এবং এই মাসের শেষের দিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ট্রাম্প চীনের প্রতি “শত্রুতাপূর্ণ আচরণ” করার অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি বেইজিং বিরল খনিজ রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি চীন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোয়ালকমের বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্ত শুরু করেছে এবং মার্কিন জাহাজে নতুন বন্দর ফি আরোপ করেছে।

এই পদক্ষেপগুলোর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতন দেখা গেছে। শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ প্রায় ২.৭ শতাংশ কমে যায়, যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে বড় একদিনের পতন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে এই নতুন উত্তেজনা বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন পণ্যে চীনের আরোপিত শুল্ক এখন ১২৫ শতাংশে পৌঁছেছে, আর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে, যা আপাতত ১০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। দুই দেশই বাণিজ্য আলোচনায় কিছু অগ্রগতি করলেও পারস্পরিক সীমাবদ্ধতা উত্তেজনা বজায় রেখেছে।

সেন্টার ফর স্টিমসনের চায়না প্রোগ্রামের পরিচালক সান ইউন বলেছেন, “চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আলোচনার সুযোগ এখনো আছে, যাতে ট্রাম্প ও শির বৈঠকটি বাতিল না হয়।”

ট্রাম্প শুক্রবার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, “আমরা বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ব্যাপকভাবে বাড়ানোর নীতিমালা বিবেচনা করছি। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”

তিনি আরও জানান, “আমি দুই সপ্তাহ পর দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু এখন তা প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে না।” যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক বাতিল করেননি।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য আসন্ন আলোচনার আগে চাপ তৈরির কৌশল হতে পারে। আবার এটি বাস্তব পদক্ষেপে রূপ নিলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।

বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা এখন নজর রাখছেন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে, কারণ দুই দেশের এই বাণিজ্য সংঘাতের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতে।

RELATED NEWS

Latest News