যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই অস্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কোনো অর্থ প্রদান করবে না বলেও স্পষ্টভাবে জানান তিনি।
রবিবার ম্যারিল্যান্ডের অ্যান্ড্রুজ বিমান ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা কিছু প্যাট্রিয়ট দিচ্ছি, কারণ তারা এগুলোর জন্য মরিয়া। তবে আমরা এর জন্য কোনো অর্থ দিচ্ছি না। ইউক্রেন আমাদের শতভাগ অর্থ পরিশোধ করবে।”
এই ঘোষণা এমন সময়ে এলো যখন ট্রাম্প পূর্বের অবস্থানে থাকাকালীন ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তিনি বরাবরই যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার ওপর জোর দিয়ে বলেছিলেন, নতুন অস্ত্র সরবরাহ রাশিয়াকে আরও কঠোর অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, রুশ বিমান হামলা প্রতিরোধে তাদের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার।
বর্তমানে ইউক্রেন যে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে, তা মূলত ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে বরাদ্দকৃত তহবিল থেকেই আসছে। নতুন তহবিল অনুমোদনে ট্রাম্প আপত্তি জানিয়ে এসেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমরা আরও প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠাব।” এর ফলে পেন্টাগনের কিছু সাময়িক সিদ্ধান্তও পাল্টে যায়।
তিনি স্বীকার করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বর্তমানে কোনো যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। বরং তিনি কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইতালির রোমে মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক সহায়তা বাড়ার আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে জেলেনস্কিকে “মাঝারি মানের কৌতুক অভিনেতা” এবং “একনায়ক” বলে মন্তব্য করেন। এমনকি হোয়াইট হাউসে একবার প্রকাশ্যে মুখোমুখি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রাশিয়ার প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প তার পূর্বের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছেন এবং ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তবে অর্থনৈতিক বোঝা নিজেদের কাঁধে নিতে নারাজ।