মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার উত্তর কোরিয়াকে “এক ধরনের পারমাণবিক শক্তি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এদিন তিনি এশিয়া সফরে রওনা হন, যেখানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “তারা অনেক পারমাণবিক অস্ত্র রাখে, এটা আমি বলতেই পারি। তাই, যখন কেউ বলে যে তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব তারা একভাবে তাই।”
ট্রাম্প আগামী বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিম জং উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্পও সম্প্রতি বলেছেন, তিনি কিমের সঙ্গে আবার দেখা করতে চান—সম্ভবত এই বছরই।
গত মাসে কিম বলেন, তার “ট্রাম্পকে নিয়ে মধুর স্মৃতি” রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের “ভ্রান্ত” পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবি প্রত্যাহার করে, তাহলে তিনি আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐক্যমন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং শুক্রবার বলেন, ট্রাম্পের এই সফরের সময় কিমের সঙ্গে বৈঠকের “উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা” রয়েছে।
তবে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, “এই সফরের সময় এমন কোনো বৈঠক নির্ধারিত নেই।”
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাতিসংঘ কমান্ড অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যৌথ নিরাপত্তা এলাকা (জেএসএ) সফর বন্ধ রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে ওই এলাকা সংস্কার করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে প্যানমুনজমে জেএসএ এলাকায় কিম ও ট্রাম্প সর্বশেষ দেখা করেছিলেন। সেখানে দুই নেতা সীমান্তের বিভাজন রেখায় হাত মেলান এবং ট্রাম্প কয়েক পা উত্তর কোরিয়ার মাটিতে প্রবেশ করেন—যা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথম ঘটনা ছিল।
এর আগে ট্রাম্প ও কিম তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনা ভেঙে যায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি কতটুকু সীমিত হবে এবং এর বিনিময়ে তারা কী পাবে—এই প্রশ্নে মতপার্থক্যের কারণে।
এরপর থেকে পিয়ংইয়ং একাধিকবার ঘোষণা করেছে যে তারা “অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক রাষ্ট্র।”
