Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকআবারও শুল্ক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, বাড়তে পারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত

আবারও শুল্ক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, বাড়তে পারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ০৬:৫৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থমকে থাকা মানেই থেমে যাওয়া নয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী অবস্থান আবারও জানান দিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেসব দেশ মনে করছিল বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ, তাদের ঘুম ভাঙিয়ে ফের শুল্ক যুদ্ধের সাইরেন বাজালেন ট্রাম্প।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ দিনে, শুক্রবার আবুধাবিতে একটি ব্যবসায়িক গোলটেবিল আলোচনায় ট্রাম্প জানান, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো বাণিজ্য চুক্তিতে আসেনি, তাদের জন্য বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন একসঙ্গে ১৫০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে চাইছি। কিন্তু একযোগে সবার সঙ্গে বসা সম্ভব নয়। তাই আমরা দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেব, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে হলে কত হারে শুল্ক দিতে হবে।”

এর আগে চলতি বছরের ২ এপ্রিল ‘লিবারেশন ডে’তে ট্রাম্প নতুন ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ ঘোষণা করেছিলেন। ৯ এপ্রিল তিনি ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত করেন আলোচনার সুযোগ দিতে। তার প্রশাসনের মতে, এরই মধ্যে শতাধিক দেশ আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে।

তবে যেসব দেশ চুক্তিতে আগ্রহ দেখায়নি, তাদের ক্ষেত্রে আগের শুল্কের ওপর আরও বাড়তি কর বসানো হবে। যদিও এই বাড়তি কর ‘পারস্পরিক’ নয়, বরং ছোট দেশগুলোর জন্য তা হয়ে দাঁড়াবে অসম ভারসাম্যের কারণ।

ট্রাম্প আরও বলেন, “তারা চাইলে আপিল করতে পারে, কিন্তু আমরা যেহেতু সবার সঙ্গে দেখা করতে পারছি না, তাই ন্যায্যভাবে জানিয়ে দেব, কত শুল্ক দিতে হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে তিনি একই হুমকি দিয়েছিলেন, যেখানে চুক্তি না করলে যুক্তরাষ্ট্র নিজস্বভাবে শুল্ক নির্ধারণ করবে বলে জানান।

এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নতুন দুটি বাণিজ্য কাঠামো ঘোষণা করেছে, যা শুল্ক কমাতে সহায়ক হয়েছে। এসব চুক্তি সম্পন্ন করেন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার।

বর্তমানে ভারতের পাশাপাশি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন সরকার আসায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এমন নীতিই ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনতে পারে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News