বিবিসি জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি আইনি নোটিশ পেয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনের আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
বিবিসি সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিটি পেয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, “আমরা চিঠিটি পর্যালোচনা করছি এবং যথাসময়ে প্রতিক্রিয়া জানাব।”
ওই ডকুমেন্টারিটি প্রচারিত হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে। সেখানে ট্রাম্পের দুটি ভিন্ন বক্তৃতার অংশ একত্র করে এমনভাবে দেখানো হয়েছিল, যেন তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা উসকে দিচ্ছেন।
বিবিসি স্বীকার করেছে, সম্পাদনার ত্রুটির কারণে বিভ্রান্তিকর ধারণা তৈরি হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, বিষয়টি আরও সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা উচিত ছিল।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ বলেন, “আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি কীভাবে ট্রাম্পের চিঠির জবাব দেব। তবে তিনি মামলা করতে পারেন, তাই আমরা সব ধরনের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “বিবিসি কোনো সমস্যার সমাধানে নিষ্ক্রিয় নয়।” তার দাবি, বিবিসি আরবি সার্ভিস ও দীর্ঘ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিভাগে ইতিমধ্যে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: ট্রাম্পের ভাষণ সম্পাদনার জেরে তোলপাড়, পদত্যাগ করলেন বিবিসির মহাপরিচালক ও সংবাদ প্রধান
এদিকে, হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বিবিসি ওই ডকুমেন্টারিটি প্রচার করেছিল।
বিবিসির আরবি বিভাগের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েল-বিরোধী পক্ষপাত’ থাকার অভিযোগও ওঠে সম্প্রতি। সাবেক উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট এক ফাঁস হওয়া নথিতে দাবি করেন, কিছু প্রতিবেদক ইসরায়েলের সমালোচনামূলক খবর বেছে প্রচার করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক কেবল ট্রাম্প ও বিবিসির আইনি লড়াই নয়, বরং গণমাধ্যমের নৈতিক দায়িত্ব ও তথ্য উপস্থাপনার সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
