মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, “আমি কী করব তা কেউ জানে না। আমি হামলা করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি।”
এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স এবং সিবিএস একযোগে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার সুযোগ দিতে চাচ্ছেন। তবে তার ধৈর্যের সীমা যে ফুরিয়ে আসছে, সেটিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
সিবিএসকে এক গোপন গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ট্রাম্প ইরানের ‘ফর্দো’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলার কথা বিবেচনায় রেখেছেন। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য আদেশ বাস্তবায়নের জন্য পেন্টাগন প্রস্তুত রয়েছে। তিনি হামলা-সংক্রান্ত বিকল্প পরিকল্পনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরি ইউএসএস নিমিৎস উপসাগরীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। এটি যুক্ত হবে ইউএসএস কার্ল ভিনসনের সঙ্গে। একইসঙ্গে এফ-২২ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ট্যাংকার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ইউরোপ থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য যুক্তরাজ্যের ডিয়েগো গার্সিয়া বা সাইপ্রাস ঘাঁটি ব্যবহারে আগ্রহ দেখালেও এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি। ব্রিটিশ সূত্র জানিয়েছে, সব বিকল্প বিবেচনায় আছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই ইরানে হামলা হতে পারে। সূত্র বলছে, পরিকল্পনা এখনো বিবর্তিত অবস্থায় আছে এবং তা পরিবর্তনশীল। কিছু কর্মকর্তার মতে, আসন্ন সপ্তাহান্তেই হামলা চালানো হতে পারে।
দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প বর্তমানে আগের তুলনায় অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়াতে। যদিও এখনো তিনি দেখছেন, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি পরিত্যাগে রাজি হয় কি না।