যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ট্রাম্প প্রশাসন ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে, যেখানে স্থানীয় নির্বাচিত নেতারা এবং ডেমোক্র্যাটিক কর্মকর্তারা বিরোধিতা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিকাগোকে “যুদ্ধক্ষেত্র” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং ৩০০ জন সৈন্য মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম ফক্স নিউজে বলেছেন, শিকাগো একটি যুদ্ধক্ষেত্র। তবে ইলিনয় গভর্নর জে.বি. প্রিৎসকার বলেছেন, রিপাবলিকানরা সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় এবং যুদ্ধক্ষেত্রের প্রেক্ষাপট দেখিয়ে আরও সৈন্য পাঠানোর চেষ্টা করছে।
একটি সম্প্রতি প্রকাশিত সিবিএস পোল অনুসারে, ৪২ শতাংশ আমেরিকান শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পক্ষে, আর ৫৮ শতাংশ বিরোধী।
ট্রাম্প শুক্রবারের বক্তব্যে দেশীয় সেনা ব্যবহারের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন এবং শনিবার পোর্টল্যান্ডে আদালত মোতায়েনকে অস্থায়ীভাবে অবৈধ ঘোষণা করেছে। বিচারক কারিন ইমারগুট লিখেছেন, “এটি সংবিধানিক আইনের দেশ, সামরিক শাসনের দেশ নয়।” আদালত উল্লেখ করেছেন, পোর্টল্যান্ডে scattered আক্রমণগুলি দেশের সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যপূর্ণ কোনো সংগঠিত প্রচেষ্টা হিসেবে প্রমাণিত হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ICE (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) দপ্তরও দেশের বিভিন্ন শহরে, প্রধানত ডেমোক্র্যাটিক শাসিত এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযান চলাকালীন অবাঞ্ছিত সংঘর্ষ এবং প্রতিবাদ দেখা গেছে।
শনিবার শিকাগোতে DHS কর্মকর্তারা একটি গাড়ি থামানোর সময় গুলি চালায়, যার ফলে একজন মোটরিস্ট আহত হয়। DHS কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাফিক স্টপে ICE কর্মকর্তারা ৩৮ বছর বয়সী অভিবাসী সিল্ভেরিও ভিলেগাস গনজালেজকে গুলি করে হত্যা করেছেন। কর্মকর্তারা অভিযুক্ত করেছেন, তিনি গাড়ি চালিয়ে পালাতে চেয়েছিলেন এবং একজন ICE কর্মকর্তাকে গাড়ির নিচে টেনে নিয়েছিলেন।
দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগরিক এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ ও আদালতের রায় যুক্তরাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার মধ্যকার ক্ষমতা ও সীমারেখা নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।