যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন অভিযান জোরদারে ফ্লোরিডায় ২০০ মার্কিন মেরিন মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পরবর্তী ধাপে লুইজিয়ানা ও টেক্সাসেও সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, “নর্থ ক্যারোলিনার নিউ রিভার মেরিন কোর এয়ার স্টেশন থেকে মেরিন উইং সাপোর্ট স্কোয়াড্রন ২৭২ এর প্রায় ২০০ সদস্য ফ্লোরিডায় অবস্থান নিচ্ছেন। তারা আইসিইর অভ্যন্তরীণ অভিযানে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সহায়তা দেবেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই মোতায়েন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের অনুরোধে করা হয়েছে, যা তারা ৯ মে পেয়েছিল।
প্রতিরক্ষা সচিব সর্বোচ্চ ৭০০ অ্যাকটিভ, ন্যাশনাল গার্ড ও রিজার্ভ সদস্য মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন।
তবে নর্দার্ন কমান্ড স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, “সেনা সদস্যরা কোনো আইন প্রয়োগ বা বন্দিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে থাকবেন না। তারা শুধুমাত্র প্রশাসনিক ও সরবরাহ-সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত থাকবেন।”
এই মোতায়েন ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ এর আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এই বিলের আওতায় সীমান্ত নিরাপত্তায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ২০২৬ অর্থবছর থেকে ১০ হাজার নতুন আইসিই এজেন্ট ও ৩ হাজার বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
জুন মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে আইসিই অভিযানকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ ঠেকাতে ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানে গাড়ি পোড়ানো ও ভবন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
তবে ফ্লোরিডা, লুইজিয়ানা বা টেক্সাসে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ বা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসের ডেইড-কলিয়ার ট্রেনিং অ্যান্ড ট্রানজিশন বিমানবন্দরে ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ নামে একটি নতুন হেফাজত কেন্দ্র চালু হয়েছে, যেখানে কয়েক হাজার বন্দির জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও ২৮ হাজার ফুট কাঁটাতার। এই কেন্দ্রেই মেরিন সদস্যরা আইসিইকে সহায়তা করছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই দৃঢ় অবস্থান নির্বাচনী বছরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।