মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বাদ দিয়ে একটি “নতুন ও অত্যন্ত সঠিক” জনশুমারি চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “যারা আমাদের দেশে অবৈধভাবে আছে, তারা জনশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে না।”
জনশুমারির তথ্য রাজনৈতিক মানচিত্র পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ট্রাম্পের এমন আহ্বান এমন এক সময়ে এসেছে যখন হোয়াইট হাউস চায় রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্যগুলো এমন ভোটার ম্যাপ তৈরি করুক যা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দলটির জন্য অনুকূল হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, প্রতি দশ বছর পরপর একটি জাতীয় জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে সব ধরনের ব্যক্তিকে গণনা করার নির্দেশ রয়েছে। তবে ট্রাম্প চান, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি নতুন শুমারি করা হোক।
এখনো নিশ্চিত নয়, তিনি নিয়মিত ২০৩০ সালের জনশুমারি সম্পর্কে বলছেন, না কি তার আগেই কোনো জরিপ চান।
জনশুমারির তথ্য কংগ্রেসের আসন সংখ্যা, ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট এবং ট্রিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বণ্টনের ভিত্তি তৈরি করে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যদি ২০২০ সালে অবৈধ অভিবাসীদের বাদ দেওয়া হতো, তাহলে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডার একটি করে কংগ্রেস আসন কমে যেত।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে জনশুমারিতে নাগরিকত্ব সম্পর্কিত প্রশ্ন যোগ করতে চেয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সে প্রচেষ্টা আটকে দেয়। আদালত তখন বলেছিল, এটি জনশুমারির সঠিকতা ক্ষুণ্ন করতে পারে, বিশেষ করে লাতিনো ও এশিয়ান-আমেরিকান পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে।
এদিকে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে নতুন নির্বাচনি মানচিত্র নিয়ে আইনপ্রণেতারা তীব্র বিরোধে জড়িয়েছেন। ওই প্রস্তাব পাস হলে রিপাবলিকানদের পাঁচটি অতিরিক্ত হাউস আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কয়েকটি রাজ্যে রিপাবলিকান গভর্নররা নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করতে নতুন মানচিত্র তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।
ডেমোক্র্যাটরা পাল্টা পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো রাজ্যগুলোতে নিজস্ব প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারে।