Saturday, July 5, 2025
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস, বদল আসছে কর ও শিক্ষা...

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস, বদল আসছে কর ও শিক্ষা নীতিতে

শিশু কর ক্রেডিটে সামান্য বৃদ্ধি, শিক্ষাঋণ পরিশোধের নিয়মে বড় পরিবর্তন; স্বাক্ষরের অপেক্ষায় বিল

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ বৃহস্পতিবার পাস হয়েছে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের ২১৮টি ভোটের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের ২১৪ ভোটকে পরাজিত করে বিলটি পাশ হয়। যদিও দুইজন রিপাবলিকান এমপি নিজেদের দলীয় অবস্থানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এই বিলটি এখন আইনে পরিণত করার জন্য ট্রাম্পের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ৪ জুলাইয়ের আগেই এটি আইনে পরিণত করবেন।

বিলটির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে। এতে ফেডারেল সহায়তার কিছু খাতে কাটছাঁট এবং নিরাপত্তা ব্যয়ের ব্যাপক বৃদ্ধি রয়েছে। একই সঙ্গে বড় অঙ্কের কর ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

বিলের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে শিশু কর ক্রেডিট ও শিক্ষাঋণ পরিশোধের নিয়মে।

নতুন আইনে, প্রতি সন্তানের জন্য কর ছাড় $২০০০ থেকে বাড়িয়ে $২২০০ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের “প্রো-লাইফ” অবস্থানকে সামনে রেখেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই $২০০ বৃদ্ধি এখনও বাস্তব চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। কারণ, ২০১৮ সালে চালু হওয়া এই পরিমাণ আজও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সংশোধন হয়নি।

করোনাকালীন পরিস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে শিশু কর ক্রেডিট $৩০০০ (আরও ছোটদের জন্য অতিরিক্ত $৬০০) পর্যন্ত বাড়ানো হলেও তা পরে আবার $২০০০-এ ফিরিয়ে আনা হয়।

শিক্ষাঋণ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এসেছে এই বিলে। এখন থেকে ঋণগ্রহীতারা শুধুমাত্র দুটি পরিকল্পনা বেছে নিতে পারবেন—Repayment Assistance Plan এবং Standard Repayment Plan।

যেসব শিক্ষার্থী আগেই অন্যান্য প্ল্যানে ছিলেন, তারা তা বজায় রাখতে পারবেন। তবে যারা SAVE পরিকল্পনার অধীনে ছিলেন, তাদের নতুন এই দুটি প্ল্যানের একটি বেছে নিতে হবে।

শিক্ষাবিষয়ক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের বিকল্প কমিয়ে দেবে এবং তাদের কিছুটা আর্থিক চাপে ফেলতে পারে, যদিও প্রশাসনের দাবি এটি ঋণ পরিশোধে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াবে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ডেমোক্র্যাট ও কিছু নাগরিক অধিকার সংগঠন বলছে, এতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News