গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ৪০ মিনিটের এক টেলিফোন আলাপে এ কথা বলেন ট্রাম্প।
টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি এবং কিছু বন্দিমুক্তির প্রস্তাব যথেষ্ট নয়। বরং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও বন্দিমুক্তির এমন কোনো চুক্তিতে রাজি হননি। তার কট্টর ডানপন্থী জোটও এতে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলে ইরানের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে ইরানে সরাসরি হামলার বিষয়টিও আপাতত বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার দরজা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
চ্যানেল ১২ এবং কান পাবলিক ব্রডকাস্টারের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের সাম্প্রতিক আলোচনায় আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে তেহরান।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন সামরিক বিকল্প তৈরি রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো তখনই বিবেচনায় আনা হবে, যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়।
ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনা অর্থহীন। তেহরান কেবল সময়ক্ষেপণ করছে। এর জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে এবং এখনই হামলার কথা বলা সঠিক নয়।
এ নিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আলাপ শেষে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তেহরান এখন আগের চেয়ে বেশি আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে।
ফক্স নিউজের বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প বলেছেন, “তেহরান আলোচনায় আচরণে অনেক পরিবর্তন এনেছে। আমরা আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছি। দেখা যাক কী হয়।”
এরই মধ্যে জানা গেছে, আগামী রোববার ওমানে ইরানের সঙ্গে ষষ্ঠ দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।