মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সার্জিও গোরকে ভারতের নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। শুক্রবার এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
৩৮ বছর বয়সী সার্জিও গোর দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে পরিচিত। তিনি হোয়াইট হাউসে প্রায় চার হাজার নিয়োগ যাচাই ও বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি রিপাবলিকান রাজনীতিতে দ্রুত প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।
গোরকে নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। প্রযুক্তি ও মহাকাশ খাতের উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে তার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব হয়। ট্রাম্প প্রশাসনে নাসার নেতৃত্বে মাস্কের প্রস্তাব তিনি আটকে দেন। পরে মাস্ক তাকে ‘স্নেক’ বা সাপ বলে উল্লেখ করেন।
যদিও গোরের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা সীমিত, তবে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে বিদেশ সফরে তিনি অংশ নিয়েছেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্যকে অপসারণে ভূমিকা রেখেছেন।
ট্রাম্প নিজের প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, “বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলের জন্য আমার এমন একজনকে প্রয়োজন যাকে আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি। সার্জিও অসাধারণ রাষ্ট্রদূত হবেন।”
তিনি আরও জানান, গোর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য বিশেষ দূতের দায়িত্বও পালন করবেন।
মার্কিন প্রশাসনে প্রচলিত কূটনীতিকদের পরিবর্তে ট্রাম্প ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠদের ওপর ভরসা করেছেন। দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক স্টেট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ পদ এখনো শূন্য রয়েছে।
মনোনয়নের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক বেশ সংবেদনশীল। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন দিল্লির ওপর চাপ বাড়িয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার ইস্যুতে। একই সময়ে ভারত রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে চীনের বিপরীতে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে আসছে। ট্রাম্প এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের পর মধ্যস্থতার কথাও বলেছিলেন, যদিও ভারত সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নেয়।
এমন পরিস্থিতিতে সার্জিও গোরের মনোনয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক্স-এ লিখেছেন, “আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গোর একজন উৎকৃষ্ট প্রতিনিধি হবেন।”