Sunday, August 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকচীনের সঙ্গে বিরল খনিজ সরবরাহ ও শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করলেন...

চীনের সঙ্গে বিরল খনিজ সরবরাহ ও শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প বললেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক চমৎকার, বাণিজ্য যুদ্ধের মীমাংসার পথে দুই দেশ

চীনের সঙ্গে সফল আলোচনার পর বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট সরবরাহ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (১১ জুন) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এটি প্রেসিডেন্ট শি এবং আমার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি একসঙ্গে কাজ করব, যাতে চীনের বাজার আমেরিকান বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত হয়।”

দুই দিনের টানা আলোচনার পর মঙ্গলবার মার্কিন এবং চীনা শীর্ষ আলোচকরা একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ চুক্তির ঘোষণা দেন।

বুধবার মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, আলোচনা সঠিক পথে এগোচ্ছে। তিনি জানান, চীন দ্রুত মার্কিন কোম্পানিগুলোর ম্যাগনেট আমদানির আবেদন অনুমোদন করবে।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, চীন পদক্ষেপ নিলে যুক্তরাষ্ট্রও নিজস্ব শুল্ক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করবে। তবে চীনের ওপর বিদ্যমান শুল্কের হার অপরিবর্তিত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আলাদা এক মন্তব্যে বলেন, “চীন যদি নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং জেনেভায় নির্ধারিত প্রাথমিক চুক্তি অনুসরণ করে, তাহলে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির ভারসাম্য আনা সম্ভব হবে।”

উল্লেখ্য, গত মাসে জেনেভায় আলোচনার সময় দুই দেশ একে অপরের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছিল। তবে পরে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে একমত, দুই দিনের বৈঠকের ফলাফল

বিরল খনিজ সরবরাহ হ্রাসের বিষয়টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উদ্বেগ। কারণ চীন গত এপ্রিল থেকে এসব রপ্তানির জন্য বিশেষ লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করে। ফলে সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন দেখা দেয়।

বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, হার্ড ড্রাইভ, উইন্ড টারবাইন ও ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়।

ট্রাম্প জানান, চীন সম্পূর্ণ ম্যাগনেট এবং প্রয়োজনীয় বিরল খনিজ সরবরাহ করবে।

এছাড়া চীনা শিক্ষার্থীদের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগও দেওয়া হবে।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা চীনের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে চুক্তি করেছি, তার মধ্যে রয়েছে চীনা শিক্ষার্থীদের আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহারের সুযোগ প্রদান।”

বর্তমানে চীনের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গড়ে ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে। এর মধ্যে এ বছর ট্রাম্পের বাড়তি ৩০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

এই হারগুলো আগের সমঝোতার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৪৫ শতাংশ এবং চীনের ১২৫ শতাংশ থেকে সাময়িকভাবে হ্রাস করা হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এর বাস্তবায়ন ও টেকসই হওয়া এখন দুই দেশের ওপর নির্ভর করছে।

RELATED NEWS

Latest News