বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর পর্যটকদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল ৫ জুন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনির স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে প্রশাসন অনুমোদিত নির্দিষ্ট পর্যটন এলাকার বাইরে ভ্রমণ এখনও নিষিদ্ধ রয়েছে। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই বিধিনিষেধ জারি থাকছে।
এখন থেকে পর্যটকরা থানচি থেকে তিন্দুমুখ পর্যন্ত মাদক হয়ে, বাকলাই পাড়া থেকে তামানতাংগি পর্যন্ত এবং রুমা উপজেলা থেকে মুন্লাই পাড়া ও বগালেক পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন।
এই এলাকাগুলোর বাইরে রুমা ও থানচির অন্য যেকোনো স্থানে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া অনুমোদিত গাইড ছাড়া ভ্রমণ করা যাবে না এবং পর্যটক কেন্দ্রের চেকপোস্ট বা তথ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে খুলছে সিলেটের ‘সাদা পাথর’ পর্যটন কেন্দ্র
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে র্যাব জানায়, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (KNF), যাদের ‘বোমা পার্টি’ নামেও ডাকা হয়, তারা অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
এরপর ১৭ অক্টোবর থেকে র্যাব ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় KNF এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এর পর থেকেই স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের এসব এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
পরে এ অভিযান থানচি উপজেলাতেও বিস্তৃত হয়। অবশেষে প্রায় ২.৫ বছর পর প্রশাসনের সিদ্ধান্তে নির্ধারিত কিছু এলাকায় পর্যটকদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হলো।