২০০৮ সালের লিগ কাপ জয়ের পর দীর্ঘ ১৬ বছর কোনো ট্রফির মুখ দেখেনি টটেনহ্যাম হটস্পার। মাঝে ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে উঠলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল দলটিকে। তবে এবার শেষ পর্যন্ত ট্রফি খরা কাটাল লন্ডনের ক্লাবটি। ইউরোপা লিগ ফাইনালে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে টটেনহ্যাম।
দুই ইংলিশ জায়ান্টের মুখোমুখি এই ফাইনালে শুরু থেকে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল রুবেন আমোরিমের ইউনাইটেড। তবে ম্যাচের ৪২তম মিনিটে বিপরীতে যায় ম্যাচের মোড়। পাপে মাতার সারের করা ক্রসে নিজেদের রক্ষণে ভীষণ বিভ্রান্ত হন লুক শ। বলটি কন্ট্রোলে নিতে ব্যর্থ হলে সুযোগ পান টটেনহ্যামের ওয়েলশ ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসন। কোন রকম বাধা ছাড়াই বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
গোল হজমের পর ইউনাইটেড একাধিকবার সমতায় ফেরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। কখনো ভিকারিওর চমকপ্রদ গোলকিপিং, কখনো আবার ডাচ ডিফেন্ডার মিকি ফন ডে ভেনের দারুণ রক্ষণে মুখ থুবড়ে পড়ে ব্রুনো ফার্নান্দেস ও রাসমুস হয়লুনদের আক্রমণ।
বিশেষ করে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ইউনাইটেডের জন্য আসে সবচেয়ে বড় সুযোগ। টটেনহ্যামের গোলকিপার ভিকারিও বল ধরতে এগিয়ে আসলেও নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন। খালি পোস্ট লক্ষ্য করে হেড করেন হয়লুন। কিন্তু গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে দিয়ে দলকে রক্ষা করেন ডে ভেন।
চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামের অবস্থা ছিল হতাশাজনক। ৩৭ ম্যাচে মাত্র ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা অবস্থান করছে ১৭ নম্বরে। তবে সেই কঠিন সময়ে এসে ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতে চমক দেখাল তারা। এই জয়ের ফলে শুধুমাত্র ট্রফিই নয়, আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগও নিশ্চিত করেছে অ্যাঞ্জ পস্তেকগলুর দল।
ফুটবলবিশ্বে এ জয়ে টটেনহ্যাম আবারও নিজেদের ফিরে পাওয়ার বার্তা দিল। সমর্থকদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক আনন্দময় অধ্যায়।