ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১১:০৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ও কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ মে) রাতের এ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন অনেকেই। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “গত রাতের ঝড়ে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এটা খুবই বেদনাদায়ক। আমরা শোকাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি।” পাশাপাশি গভর্নর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন অন্তত ৭ জন। এর মধ্যে সেন্ট লুইস শহরেই প্রাণ গেছে ৫ জনের। সেখানকার মেয়র কারা স্পেন্সার বলেন, “আমাদের শহর আজ রাতে শোকে বিহ্বল। টর্নেডোর আঘাত এবং প্রাণহানি সত্যিই ভয়াবহ।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। টর্নেডোর আঘাতে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকায়।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, টর্নেডোটি ছিল শক্তিশালী এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানে। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র জানতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সরকার ও স্বেচ্ছাসেবীরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। দুই অঙ্গরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়ই দেখা গেলেও এবারের টর্নেডো অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে, যা স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।