ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের (MCU) নতুন সিনেমা ‘Thunderbolts’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় থাকলেও বক্স অফিসে আশানুরূপ ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে যাচ্ছে MCU-র ইতিহাসে অন্যতম বড় আর্থিক ক্ষতির সিনেমা।
প্রথম সপ্তাহে কিছুটা আশাব্যঞ্জক শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। চতুর্থ সপ্তাহ শেষে সিনেমাটির বৈশ্বিক আয় ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছালেও, এখনই ধারণা করা হচ্ছে এটি ৪০০ মিলিয়ন ছুঁতে পারবে না। অনেকের মতে, এটি হবে মার্ভেলের দ্বিতীয় সবচেয়ে কম উপার্জনকারী সিনেমা ‘দ্য মার্ভেলস’-এর পরে।
গড় আয় ও তুলনামূলক ব্যর্থতা
‘থান্ডারবল্টস’ এর প্রোডাকশন খরচ ছিল প্রায় ১৮০ মিলিয়ন ডলার, সঙ্গে ১০০ মিলিয়নের বেশি মার্কেটিং ব্যয়। এই তুলনায় বর্তমান আয় প্রায় অর্ধেকেরও কম, যা এটিকে স্পষ্টতই আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চরিত্রগুলোর প্রতি দর্শকদের আগ্রহের অভাব ও দুর্বল গল্প বলার ভঙ্গি সিনেমাটির পতনের অন্যতম কারণ। তুলনামূলকভাবে, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ এর চেয়েও কম আয় করছে থান্ডারবল্টস, যা নিজেও একসময় ফ্লপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা
সিনেমাটি মুক্তির পর কিছু গণমাধ্যম ও সমর্থকরা এটি ‘মার্ভেলের সেরা সিনেমা’ বলে প্রচার করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। যেমনটি অতীতেও দেখা গেছে, বক্স অফিস ব্যর্থতার পরপরই সংবাদ শিরোনাম পাল্টে যায়। শুরুতে ‘থান্ডারবল্টস অ্যাসেম্বেলস এ মাইটি ওপেনিং’ বলা হলেও এখন শিরোনাম হচ্ছে, ‘হোয়াট হ্যাপেনড টু থান্ডারবল্টস’।
MCU-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
এই ব্যর্থতা মার্ভেলের ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর উপরও ছায়া ফেলছে। ‘থান্ডারবল্টস’ এর ব্যর্থতা প্রমাণ করে, শুধুমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি নাম দিয়ে এখন আর দর্শক টানানো যাচ্ছে না। জনসংযোগ, চরিত্র নির্মাণ ও কনটেন্ট কোয়ালিটিতে পরিবর্তন না আনলে MCU-এর ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এদিকে, সামনের গ্রীষ্মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। দর্শকদের চোখ এখন সেটির দিকে।