Saturday, June 21, 2025
Homeজাতীয়আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের হুমকি, দুজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের হুমকি, দুজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৫, ২২:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর হুমকি ও গালাগালের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি। ঘটনার সময় আদালতে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, যিনি রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে হাজির হন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা তিনটার কিছু পরে তাকে মহানগর হাকিম জুয়েল রানার আদালতে তোলা হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। আদালত শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।


শুনানিকালে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য আদালতকক্ষে প্রবেশ করলে দুজন আইনজীবী—মাহবুব আলম ও আক্তার হোসেন—তাদের বের হয়ে যেতে বলেন। এতে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

রিমান্ড শুনানি শেষে যখন মমতাজকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল, তখন সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকেরা ডায়াসের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় আইনজীবীদের ভেতর নিজেরাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে, যা আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্ম দেয়।


টেলিভিশন চ্যানেল ‘এখন’-এর সাংবাদিক রাব্বি হোসেন ও সময় টিভির আসিফ মাহমুদ সিয়াম জানান, তাঁরা আইনজীবীদের শান্ত করে সুশৃঙ্খলভাবে ব্রিফ করতে বললে, ওই দুজন আইনজীবী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন।

সাংবাদিক রাব্বি হোসেন বলেন,
“আমি বলি, নিউজ সংগ্রহে এসেছি। পরে বিনয়ের সঙ্গে বলি সবাই শৃঙ্খলভাবে দাঁড়ান। তখন মাহবুব আলম ও আক্তার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং বারবার বলেন—১৭ বছর কই ছিলেন? আদালত আমার, এখানে সাংবাদিকদের কিছু বলার সুযোগ নেই।”

আরেক সাংবাদিক সিয়াম বলেন,
“আমাকে দালাল ও ধান্দাবাজ বলে গালি দেন তারা। এমনকি মারধরের জন্য এগিয়ে আসেন।”


কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মামুন খান এক যৌথ বিবৃতিতে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন,
“আদালতসংশ্লিষ্ট জায়গায় সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা এবং হুমকি দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও পেশাগতভাবে শৃঙ্খামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

অবশ্য পরে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী অভিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

RELATED NEWS

Latest News