গ্যাব পলস্কির নতুন প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য ম্যান হু সেভস দ্য ওয়ার্ল্ড?’ একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী। নামের মধ্যেই যেমন রহস্য, তেমনি এর মূল চরিত্র প্যাট্রিক ম্যাককলাম একজন অনন্য ব্যক্তি। তিনি নিজেকে এমন একজন মনে করেন যিনি প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর ঐক্য স্থাপন করে অ্যামাজন রেইনফরেস্টকে রক্ষা করবেন।
পুরো প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যায়, ম্যাককলামের পেছনে ছায়ার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্মাতা গ্যাব পলস্কি, যেন ডন কুইক্সোটের সঙ্গে সাঞ্চো পাঞ্জা। কখনও মনে হয় ম্যাককলাম নিছকই এক ভ্রান্ত চিন্তাধারার মানুষ, আবার কখনও মনে হয় তার মধ্যে সত্যিই কিছু একটুর ইঙ্গিত আছে।
এমন চরিত্রকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য ম্যান হু সেভস দ্য ওয়ার্ল্ড?’, যা একইসঙ্গে উদ্ভট, মানবিক এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। প্রামাণ্যচিত্রটি ইতোমধ্যে পেয়েছে অসংখ্য প্রভাবশালী ব্যক্তির সমর্থন। এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ড্যানি ম্যাকব্রাইড, ডেভিড গর্ডন গ্রীন, জোডি হিল এবং অস্কারজয়ী পরিচালক পিটার ফ্যারেলি।
ফ্যারেলি বলেন, “আমি এই সিনেমা ভালোবেসেছি। এটা সময়োপযোগী ও জীবন-অনুপ্রেরণাদায়ী।” রাফ হাউস পিকচার্সের পক্ষ থেকেও বলা হয়, “এমন ছবি যা মানুষকে হাসায়, ভাবায় এবং নিজের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলে, সেটাই আমাদের কাছে মানানসই।”
ডকুমেন্টারিটি সাধারণ থিয়েটার রিলিজ পাচ্ছে না। বরং নির্মাতা পলস্কি এবং ম্যাককলাম মিলে এর জন্য পরিকল্পনা করেছেন একটি ভিন্নধর্মী ‘হাইব্রিড’ রিলিজ। সেপ্টেম্বরের শেষে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ায় একাধিক প্রিভিউ শো হবে তাদের সরাসরি উপস্থিতিতে। এরপর অক্টোবরের ১৭ তারিখ থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে সিনেমাটির অ্যাওয়ার্ড কোয়ালিফাইং থিয়েটার রানে যাত্রা শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে তারা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করে দর্শকদের সঙ্গে মুভিটির অভিজ্ঞতা ভাগ করবেন।
গ্যাব পলস্কি বলেন, “আমি জীবনে অনেক চরিত্র নিয়ে কাজ করেছি, কিন্তু প্যাট্রিক ম্যাককলামের মতো কেউ ছিল না। এ রকম গল্প বানিয়ে বলা যায় না, এটা এক অদ্ভুত কিন্তু অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল।”
বিশ্ব যখন জলবায়ু সংকট ও আদিবাসী অধিকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে, তখন এমন একটি ডকুমেন্টারি নতুন আলো ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘দ্য ম্যান হু সেভস দ্য ওয়ার্ল্ড?’ একটি জীবনবোধের এবং আদর্শের গল্প, যেখানে এক ব্যতিক্রমী মানুষ তার বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যান পৃথিবী বাঁচানোর পথে।