Saturday, July 5, 2025
Homeআন্তর্জাতিকথাইল্যান্ডে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, বরখাস্তের পর সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন পায়েতংতার্ন

থাইল্যান্ডে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, বরখাস্তের পর সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন পায়েতংতার্ন

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালন করবেন ফুমথাম ওয়েচায়াচাই, রাজা কর্তৃক মন্ত্রিসভা অনুমোদিত

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের অনুমোদনক্রমে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্তের পর এই মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রা একটি নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তিনি ক্যাম্বোডিয়ার একজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে ফোনালাপের ঘটনায় তদন্তের মুখে পড়েন। সেই ফোনালাপের কারণে দেশব্যাপী ক্ষোভ ও বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে পায়েতংতার্ন

বরখাস্তের পর পায়েতংতার্ন নতুন মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে এসেছেন। থাইল্যান্ডের রাজা এই দায়িত্ব অনুমোদন করেছেন। এর ফলে তিনি সরকারে রয়ে গেলেন, যদিও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ফুমথাম

নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। তিনি পায়েতংতার্নের পিতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। এর আগে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন থেকে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন।

সাময়িক দায়িত্বে অন্যরাও

সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হোংসাব জানান, ফুমথাম ছাড়াও আরও কয়েকজন উপপ্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের লাইনে আছেন। এই মুহূর্তে উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরিয়াংকিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালন করছেন। তিনি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের রাজা কর্তৃক অনুমোদনের অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন।

আদালতের সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ

সাংবিধানিক আদালত মঙ্গলবার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, পায়েতংতার্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ৭-২ ভোটে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত আদালতের চূড়ান্ত রায় কবে দেওয়া হবে, তা পরিষ্কার নয়।

পায়েতংতার্নের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হলো ক্যাম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে তিনি দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করেছেন। মে মাসে সংঘটিত একটি গোলাগুলিতে এক ক্যাম্বোডিয়ান সেনা নিহত হলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

থাইল্যান্ডে আগের বছর একই আদালতের রায়ে বরখাস্ত হয়েছিলেন পায়েতংতার্নের পূর্বসূরী। এই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নেতৃত্বে পরিবর্তন দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে মন্ত্রিসভার নবগঠিত এই রূপ সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

RELATED NEWS

Latest News