Sunday, July 20, 2025
Homeরাজনীতিনির্বাচন পিছাতে ষড়যন্ত্র চলছে কি না, সতর্ক থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

নির্বাচন পিছাতে ষড়যন্ত্র চলছে কি না, সতর্ক থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

আন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বলেন, “মানুষ এখন প্রশ্ন করছে, কোনো একটি গোষ্ঠী কি আন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশের সহায়তায় পরিকল্পিত পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, সেগুলো আর উপেক্ষা করা যাচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রত্যাশিত ও নির্মম ঘটনা জনগণের মনে এই প্রশ্ন আরও জোরালো করেছে যে, এই আন্তর্বর্তী সরকার আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত কি না।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “আমি জনগণ, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং আন্দোলনে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা সতর্ক থাকুন এবং লক্ষ্য রাখুন, কেউ যেন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে।”

তিনি আন্তর্বর্তী সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও সাহসী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা আপনাদের পাশে থাকবে, যদি আপনাদের ভূমিকা স্বচ্ছ হয়।”

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই নির্বাচন আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল সিদ্ধান্ত বা আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন আবার ফ্যাসিবাদ বা চরমপন্থা ফিরে না আসে, সে জন্য সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।”

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি ২০২৪ সালের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “যেভাবে জাতি ১৯৭১ সালের শহিদদের স্মরণ করে, তেমনি ২০২৪ সালের শহিদদেরও চিরস্মরণে রাখা হবে।”

তারেক রহমান জানান, বিএনপি শুরু থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন করলেও, আওয়ামী লীগ যেন এটিকে দলীয় আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারে, সে কারণে কৌশলী ভূমিকা রেখেছিল দলটি।

তিনি বলেন, “একটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য সঠিক পথ হলো জনগণের রায়, আস্থা ও বিশ্বাস। রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জনের মাধ্যম হতে হবে সেই জনগণেরই ভোট।”

যুব সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কেবল স্লোগান বা পুরনো রাজনীতির ধারা যথেষ্ট নয়, জ্ঞান ও বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ ও ২০২৪ সালের শহিদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রথম শর্ত হলো একটি জবাবদিহিমূলক ও জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা। ফ্যাসিবাদের কাঠামো ভেঙে ফেলতে হলে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে সূচনা হয়। শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের বেদনার কথা ও স্মৃতি ভাগ করে নেন, যা অনুষ্ঠানে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।

RELATED NEWS

Latest News