বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জ্ঞান ও মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষকদের সমর্থন অপরিহার্য। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শিক্ষকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার সংস্কারে যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা বাস্তবায়নে জনগণের পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোট।
তারেক রহমান বলেন, “রাষ্ট্র ও শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যত পরিকল্পনাই নেওয়া হোক, তা সফল হবে না যদি আমরা শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক না করি এবং শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করি।”
তিনি বলেন, বিএনপি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলোকে সমর্থন করে। এর মধ্যে রয়েছে অবসরকালীন বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করা, অ-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা, এবং বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, চাকরি নিয়মিতকরণ এবং রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা অনুযায়ী জাতীয়করণের বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
এছাড়া বর্তমান পাঠ্যক্রম সংস্কার ও তা আরও বাস্তবভিত্তিক ও কারিগরি করার জন্য “শিক্ষা সংস্কার কমিশন” গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধভিত্তিক কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। তা না হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এ এন এম এহসানুল হক মিলন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানউল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি এ এফ এম ইউসুফ হায়দারসহ দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা হাজারো শিক্ষক ও কর্মচারী সমাবেশে অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক, ন্যায়সংগত ও কর্মমুখী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য শিক্ষকদের সহযোগিতা প্রয়োজন, কারণ তারাই জাতির বিবেক।”