বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৮ জুলাই লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
তার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রস্তুত করা হচ্ছে বুলেটপ্রুফ যানবাহন এবং একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
২৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন। তার আগমন উপলক্ষে লন্ডন ও বাংলাদেশ—উভয় জায়গাতেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, বুলেটপ্রুফ গাড়ি, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানান, ২৮ জুলাই তারেক রহমান লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) পৌঁছাবেন।
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের গুলশানের বাসভবন সংস্কার করা হয়েছে। সেখান থেকেই প্রাথমিকভাবে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি। এরপরই তিনি একটি আলাদা অফিসে স্থানান্তর হবেন।”
তার প্রত্যাবর্তনের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পটভূমি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের দেশে ফেরায় কোনো আইনগত বাধা নেই।
একাধিক মামলায় খালাস পাওয়ার পর বিশেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় নির্দোষ ঘোষণার পর তাঁর গ্রেফতারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
দলের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, তারেক রহমানের আগমন বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে। Grassroots পর্যায়ে চাঙ্গা হতে পারে বিএনপি, যা সামনে আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বুলেটপ্রুফ কনভয় ও উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা শুধু তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং এটি তাঁর আগমনের গুরুত্ব এবং সম্ভাব্য রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে নির্দেশ করে।
২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ২০১৮ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। আগস্ট ২০২৪ এর গণআন্দোলন ও পরবর্তী একাধিক মামলায় খালাস পাওয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরার পথ প্রশস্ত হয়।
তার আগমন সামনে রেখে গুলশানের বাসভবন পুরোপুরি সংস্কার করা হয়েছে, যা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ঢাকায় পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি প্রতীক হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
