পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ভিডিওতে হামলাকারীদের স্পষ্টভাবে দেখা গেলেও এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় সরকারের নীরবতা ও প্রশাসনিক ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে স্পষ্টভাবে হত্যাকারীদের দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাহলে কি আমরা ধরে নেব, এই সহিংসতার মাধ্যমে অরাজকতা তৈরির পেছনে সরকার বা প্রশাসনের কেউ নীরবে প্রশ্রয় দিচ্ছে?”
চলতি বছর জুলাই মাসে গণআন্দোলনের সময় নিহত ১৪২ জন ছাত্রদল শহীদের পরিবারের সঙ্গে এই ভার্চুয়াল মতবিনিময় করেন তিনি। সভাটি ঢাকার একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন সব সময় ন্যায়বিচারের পক্ষে এবং যে অপরাধ করে, তার বিচার হওয়া উচিত রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে। “অপরাধী কখনো রাজনৈতিক পরিচয়ে রক্ষা পেতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটছে। অথচ প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। “দেশজুড়ে মানুষ প্রশ্ন করছে, সরকার কেন চুপ? কেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না?”
অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবার তাদের প্রিয়জনদের স্মৃতিচারণ করে আবেগপ্রবণ পরিবেশ তৈরি করেন। তারা বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারেক রহমান শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ন্যায়বিচারের দাবিতে উচ্চকণ্ঠে কথা বলুন। যারা বিচার বিলম্ব করতে মব তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধেও সচেতন থাকুন।”
তিনি আরও আশ্বাস দেন, “আগামী দিনে যদি বিএনপি জনগণের সমর্থনে সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে শহীদদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আমরা জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রাণ হারানোদের প্রতি সুবিচার করব।”