বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছরের বিরতি শেষে শুক্রবার প্রথমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেশপ্রেম, দলের নীতি এবং ব্যক্তিগত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, নির্বাচন, দলের প্রস্তুতি এবং সমাজ-রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেছেন।
তারেক রহমানের বক্তব্যে তুলে ধরা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, আগাম জাতীয় নির্বাচন, ন্যায্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা, বিএনপির বিদেশনীতি, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া, ৩১-পদক্ষেপের রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব, সরকারের পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক সংলাপ।
তিনি বলেন, “আমি সর্বদা মনে করেছি, দেশের ভবিষ্যৎ ন্যায়, সততা, জনগণের কল্যাণ, প্রকৃত গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ওপর ভিত্তি করা উচিত।” সাক্ষাৎকারে তারেক একটি মানবিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের চিত্র আঁকেন যেখানে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, তরুণরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে, প্রতিটি পরিবার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছ ও জনসেবামূলক হবে।
তিনি জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর বিদেশ থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন পরিচালনার পর এখন বাংলাদেশ নতুন যাত্রার পথে। “আমি আগামী নির্বাচনে দেশে ফিরে জনগণের সঙ্গে থাকব,” তিনি বলেন। এছাড়া তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে এবং ব্যক্তিগত প্রতিশোধের চেয়ে আইনের শাসনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বিএনপির ৩১-পদক্ষেপের রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী সক্ষম ও “স্মার্ট” নেতৃত্ব নির্বাচন করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া মুক্ত বাক্যপ্রকাশ, সাংবাদিক স্বাধীনতা ও বিরোধী মতের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদেশনীতিতে বিএনপির মূল নীতি হিসেবে তিনি “বাংলাদেশ প্রথম” কৌশল পুনরায় উল্লেখ করেছেন।
তারেক রহমানের এই সাক্ষাৎকারে দেশের রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের কল্যাণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে।