ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৫, ১০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে সরকারের ভেতরে ও বাইরে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সরকার যদি জনগণের ভাষা, আশা ও আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এনডিএমের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা আবারো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—অযথা পরিস্থিতিকে ঘোলাটে না করে একটি জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন।” তিনি মনে করেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে, পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবেলা করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, “লোভ ও লাভের প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করবে, আমরা সে আশাই করছি।”
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো বারবার রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানালেও সরকার সে ডাকে সাড়া দেয়নি। বরং সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে ‘অল্প সংস্কার-বেশি সংস্কার’ ধাঁচের শর্তে আটকে রেখেছে।
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা আরও বাড়ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে।”
তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, “এভাবে অস্থিরতা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান এবং বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দলটির নেতাকর্মীরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলগুলোর চাপ ও সরকারের নীরবতা—দুইয়ের দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। নির্বাচনের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে বলে অনেকেই মনে করছেন।