Sunday, August 24, 2025
Homeরাজনীতিআসন্ন নির্বাচনে জনগণের রায় নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

আসন্ন নির্বাচনে জনগণের রায় নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

বিএনপি নেতার দাবি, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন ব্যবস্থা বাংলাদেশের বাস্তবতায় উপযোগী নয়

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের রায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সফলতা ঠেকাতে অন্যায় কৌশল গ্রহণ না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরাসরি জনগণের ম্যান্ডেট চাইতে হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “যারা নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করছে তারা অজান্তেই গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একই সঙ্গে তারা পরাজিত এক স্বৈরাচারী সরকারের পুনরুত্থানের সুযোগ তৈরি করছে।”

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সহযোগীদের প্রতি আমার বিনীত আহ্বান, গণতান্ত্রিক দলগুলোর ভিন্নতা যেন এমন জায়গায় না পৌঁছায় যাতে পরাজিত স্বৈরতন্ত্র সুযোগ নিয়ে অতীতের অন্যায়কে বৈধতা দেয়।

প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) ব্যবস্থা সম্পর্কে মতামত জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ ধরনের ব্যবস্থার জন্য উপযোগী নয়।

তারেক রহমান বলেন, “PR ব্যবস্থায় জনগণ স্পষ্টভাবে জানতে পারে না তাদের প্রতিনিধি কে। অথচ জনগণের অধিকার আছে জানতে, কাকে তারা ভোট দিচ্ছে। তাই যেকোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, PR ব্যবস্থা ও অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে তা সময়ের সঙ্গে সমাধান হবে।

তারেক রহমান আরও অভিযোগ করেন, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দলের বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি দাবি করেন, অতীতে পরাজিত স্বৈরশাসক বিএনপি’র জয় ঠেকাতে নানা কৌশল নিয়েছিল, আর বর্তমানে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গণতন্ত্রকামী কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে।

তিনি বলেন, “জনগণের রায় ঠেকানোর জন্য কৌশল নয়, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ওপর নির্ভর করতে হবে। জনগণকে তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ দিন।”

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাধীনতার স্মৃতি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীন দেশ ও পরিচয় দিয়েছে। একইভাবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণ করি কারণ তারা আমাদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করেছেন।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ যেসব নেতা প্রাণ দিয়েছেন তাদের ত্যাগও দেশের ইতিহাসের বাস্তবতা। তিনি চরমপন্থার উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ প্রবণতা বন্ধ না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি সব রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

RELATED NEWS

Latest News