গত বছরের জুলাই মাসে সরকারবিরোধী গণআন্দোলনের সময় আহত মুবিনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুরুতর আহত মুবিন বর্তমানে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সোমবার (৯ জুন) তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার মুবিনের পৈতৃক বাড়িতে ছুটে যান।
মুবিনের পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ডা. রফিকুল। তিনি আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে মুবিনের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ডা. রফিকুল বলেন, “গণআন্দোলনের ফলে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও আন্দোলনকারীদের দুর্দশার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন।”
তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, গণআন্দোলনের আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল ও মানবিক হতে।
এ সময় বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল গত বছরের গণআন্দোলনের অর্জনগুলো ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করার মাধ্যমে এই মহল ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের অপহরণ, মিথ্যা মামলা এবং নির্যাতনের বিষয়গুলো উপেক্ষা করছে।”
উল্লেখ্য, মুবিন একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই।
গত বছর disproportionate কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে অংশ নেন মুবিন। ১৮ জুলাই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ গুলি চালালে মুবিনের দুই চোখ গুরুতরভাবে আহত হয়।
প্রথমে স্থানীয় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। এরপর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ বেসরকারি ভিশন আই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একাধিক অস্ত্রোপচার করা হলেও এখনও তার চিকিৎসার জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে।
মুবিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, পর্যাপ্ত চিকিৎসার জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন যাতে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ হারানো থেকে রক্ষা পেতে পারেন।