গণপিটুনি এখন একটি নতুন উন্মত্ততা হিসেবে দেশের মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার আন্তর্জাতিক নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে ঘোষিত দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু এখনো গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা শুরু হয়নি। এরই মাঝে ‘মব জাস্টিস’ মানবতার শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার পরিবেশকেই বিপন্ন করবে।”
জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নির্যাতনের শিকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তারেক রহমান আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন করলেও সহিংসতা ও দমন-পীড়ন বিশ্বজুড়ে এখনো চলমান। বহু দেশে স্বৈরশাসকেরা প্রতিপক্ষের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। বাংলাদেশেও গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা চলছে, যা দেশের গণতন্ত্রকে বন্দী করে রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নিপীড়ন চালানো হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে পুরনো আইন প্রয়োগ করে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মানবতা, বিচার, আইনের শাসন এবং অবাধ নির্বাচনই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “গণপিটুনি নামের সহিংস উন্মত্ততা এখন মানবতার শত্রু। এই প্রবণতা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
তারেক রহমান এদিন বিশ্বের সব নির্যাতিত মানুষের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, “মানবতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ফ্যাসিস্ট শাসকদের পরাজিত করা সম্ভব।”
