ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে স্পিন বোলার তানজিম হাসান সাকিবকে পরপর চারটি ম্যাচে নতুন বলের বোলিং থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ যে ম্যাচে তিনি নতুন বল বোলিং করেছিলেন সেখানে চার ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাকে নতুন বলের পরিবর্তে চতুর্থ বা তৃতীয় বোলার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচেও হারার পর ক্রিকেট বিশ্লেষক আবিদ হোসেইন সামি মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তে রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের ভুল পরিকল্পনার ছাপ। কারণ তানজিম সাকিব বিশ্বকাপে নতুন বল বোলিংয়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে নতুন বল দিয়ে বোলিং করাও তার পরিচিত ফরম্যাট।
অন্যদিকে, মেহেদী হাসান মিরাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে অভিহিত হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলতে চাইলে তাকে তার বোলিং স্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে ফ্ল্যাট বোলিংয়ের অভ্যাস তৈরি করা তার জন্য জরুরি বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষক সামির মতে, মিরাজের মত কিছু বোলার টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজস্ব বোলিং নেচার বজায় রাখতে চান এবং টি-টোয়েন্টির মতো ফরম্যাটে এই পরিবর্তন তাদের জন্য কঠিন হতে পারে। এতে তাদের টেস্ট ক্রিকেটে পারফরম্যান্সও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন, বিশ্ব ক্রিকেটেও অনেক সফল টেস্ট বোলার নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলেন না। যেমন নেইথান লায়ন, রবিচন্দ্র আসন, প্রভাত জায়ুরিয়া, নওমান আলী প্রভৃতি। তাদের প্রধান ফোকাস টেস্ট ফরম্যাটেই থাকে।
অন্যদিকে, ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা ও ক্যাচ ড্রপের কারণে বাংলাদেশের পয়েন্ট হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে ফ্লাডলাইটে ক্যাচ ধরার অভিজ্ঞতা কম থাকায় রাতের ম্যাচগুলোতে ফিল্ডিং সমস্যা তৈরি হয়। তাই ডে-নাইট ম্যাচে অভ্যস্ততা গড়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা চলছে।
সর্বোপরি, বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক প্লেয়ার ব্যবস্থাপনা এবং ফরমেট অনুযায়ী বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের সঠিক সমন্বয়।