ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কারুর জেলায় অভিনেতা থেকে রাজনীতিক হওয়া বিজয়ের নির্বাচনী সমাবেশে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আট শিশু ও ১৬ নারী রয়েছেন বলে শনিবার জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে লেখেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”
তামিলনাড়ুর আইনপ্রণেতা ভি সেন্টিলবালাজি জানিয়েছেন, আহত প্রায় ৫৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৫১ বছর বয়সী বিজয় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এমন সময় হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয় এবং তাকে বক্তব্য বন্ধ করতে হয়। পরবর্তীতে এক্সে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজয়কে এক নজর দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ মঞ্চের ব্যারিকেডের দিকে ধাবিত হলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
এম কে স্টালিন ঘটনাটিকে “দুঃখজনক” আখ্যা দিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বিবৃতিতে বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং এই কঠিন সময়ে তাদের শক্তি কামনা করি।”
ভারতে ভিড় ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুম্ভমেলায় পদদলিত হয়ে ৩০ জন মারা যান। গত বছর উত্তর প্রদেশে এক ধর্মীয় সমাবেশে ১২১ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া গত জুনে বেঙ্গালুরুতে আইপিএল শিরোপা উদযাপনের সময় ১১ জন সমর্থক পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান।
