সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রোববার জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ড্রুজ যোদ্ধা, বেদুইন গোষ্ঠী, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং ইসরায়েল সক্রিয়ভাবে জড়িত।
সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৩৬ জন ড্রুজ যোদ্ধা এবং ২৯৮ জন ড্রুজ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে ১৯৪ জনকে প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা সংক্ষিপ্ত বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই হত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া সংঘর্ষে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ৩৪২ জন নিরাপত্তা সদস্য এবং ২১ জন সুন্নি বেদুইনও প্রাণ হারিয়েছেন। বেদুইনদের মধ্যে ৩ জন বেসামরিক নাগরিক, যাদের ড্রুজ যোদ্ধারা সরাসরি হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করেছে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।
আরও ১৫ জন সিরিয় সরকারি সেনা ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ সিরিয়ায় সম্প্রতি সহিংসতা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এই অঞ্চলটি বহুদিন ধরেই ধর্মীয় ও জাতিগত বৈচিত্র্যের কেন্দ্র, যেখানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিনের।
সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ বিশেষভাবে গুরুতর, কারণ এতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি সম্প্রদায়ভিত্তিক মিলিশিয়া এবং বিদেশি শক্তি ইসরায়েল সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংঘর্ষটি শুধু সামরিক নয় বরং জাতিগত ও রাজনৈতিক প্রভাবও বিস্তার করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে এবং অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
এই রিপোর্ট এমন এক সময়ে এলো যখন সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতির অবনতিতে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থতার মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।