সিলেট, ২৬ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : সিলেট নগরবাসী এখন কার্যত অভিভাবকশূন্য। ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনে নেই কোনো নির্বাচিত মেয়র। প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে কোনোমতে চললেও শৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও নাগরিক সেবায় স্থবিরতা প্রকট হয়ে উঠেছে।
নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীতে হঠাৎ করে বেড়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড, হকারদের দখলদারি এবং রাস্তার পাশে অনিয়ন্ত্রিত খাবারের দোকান। ফুটপাতের পরিবর্তে মানুষকে রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে। আগে যেখানে নিয়মিত অভিযান চলত, এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযানের অনুপস্থিতিতে হকাররা পুনরায় দখল নিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
সাধারণ নাগরিকদের ভাষ্য, “সিটি করপোরেশন যেন পরিবার, আর এখন সেই পরিবারের কোনো গার্জিয়ান নেই। মেয়র ছাড়া সিলেট এখন সম্পূর্ণ দিশাহীন।”
বিশেষ করে শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড, মজুমদারপাড়া ও শামীমাবাদ এলাকায় ড্রেনের স্ল্যাব ভাঙা, রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা এবং মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। জনগণ বলছেন, দায়িত্বশীল কোনো জনপ্রতিনিধি থাকলে এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হতো।
স্থানীয়দের বক্তব্য, “রাস্তার চাইতে ফুটপাতগুলো হকারে ভর্তি। মশার ওষুধ ছিটানো বন্ধ। ড্রেন পরিষ্কার না হওয়ায় দুর্গন্ধ ও পানিবদ্ধতা বাড়ছে।”
সিলেটবাসী মনে করেন, প্রশাসক দিয়ে দীর্ঘদিন নগর পরিচালনা সম্ভব নয়। একজন নির্বাচিত এবং দায়িত্ববান মেয়রই পারেন নগর উন্নয়নকে গতিশীল করতে। নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যারা রয়েছেন, তারাও বলছেন দায়িত্বহীনতার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
নগরের নাগরিক সেবার জন্য যেমন সঠিক নেতৃত্ব দরকার, তেমনি দরকার মাঠপর্যায়ে তদারকি। এই প্রেক্ষাপটে নগরবাসীর দাবি, দ্রুত একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যেন মেয়রের চেয়ারে বসেন, যিনি নগর পরিচালনা, উন্নয়ন ও নাগরিক সেবায় অগ্রাধিকার দিতে পারবেন।
নগরীর উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এখন সিলেটবাসীর একটাই দাবি—অভিভাবক হীনতা দূর হোক, নগর পোক্ত হোক।