স্টিচ ভক্তদের জন্য আসছে নতুন চমক। ২০০২ সালের জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’-এর অন্যতম নির্মাতা ক্রিস স্যান্ডার্স ফিরছেন নতুন লাইভ-অ্যাকশন সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য লিখতে।
‘দ্য ওয়াইল্ড রোবট’ নির্মাতা স্যান্ডার্স এখন চূড়ান্ত আলোচনায় রয়েছেন ডিজনির নতুন ‘স্টিচ’ সিক্যুয়েল লেখার জন্য। তিনি স্টিচ চরিত্রের গলাও দিয়েছিলেন অ্যানিমেটেড ও লাইভ-অ্যাকশন উভয় সংস্করণেই।
তবে এবারের চুক্তি শুধুমাত্র চিত্রনাট্য লেখার জন্য। পরিচালনার দায়িত্বে তিনি থাকছেন না। বর্তমানে স্যান্ডার্স ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের ‘রোবট’-এর সিক্যুয়েল নিয়েও কাজ করছেন।
গত সপ্তাহেই লাইভ-অ্যাকশন ‘স্টিচ’ বক্স অফিসে এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি প্রথম হলিউড সিনেমা যা এই আয় অতিক্রম করেছে।
মেমোরিয়াল ডে-তে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। ২৩ মে মুক্তির চার দিনের মাথায় এটি ১৮৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে রেকর্ড গড়ে।
এটি এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৪০০ মিলিয়নের বেশি আয় করা মাত্র দুটি সিনেমার একটি। অন্যটি হলো ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ‘দ্য মাইনক্রাফট মুভি’।
লাইভ-অ্যাকশন সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ডিন ফ্লেইশার ক্যাম্প এবং লিখেছেন ক্রিস কেকানিওকালানি ব্রাইট ও মাইক ভ্যান ওয়েস।
জোনাথন আইরিচ আবার প্রযোজকের দায়িত্বে ফিরছেন।
নতুন সিক্যুয়েলের কাহিনি সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে এটি হবে একদম নতুন গল্প, যা আগের সরাসরি ভিডিও সিক্যুয়েল বা টিভি সিরিজের পুনরাবৃত্তি নয়।
মূল গল্পে দেখা যায়, একটি নিঃসঙ্গ মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে নীল রঙের এক কুকুর সদৃশ প্রাণী, যা আসলে একটি এলিয়েন এবং যুদ্ধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
২০০২ সালের অ্যানিমেটেড সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন ক্রিস স্যান্ডার্স ও ডিন ডিব্লয়িস। এটি ছিল তাদের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র।
পরে তারা ‘হাউ টু ট্রেইন ইউর ড্রাগন’ এবং ‘দ্য ক্রুডস’-এ একসঙ্গে কাজ করেন। ২০২০ সালে স্যান্ডার্স ‘দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড’ সিনেমার মাধ্যমে লাইভ-অ্যাকশনে অভিষেক করেন।
নতুন ‘স্টিচ’ সিক্যুয়েল নিয়ে ডিজনি এখন নতুন করে দর্শকদের আকর্ষণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিনেমাটি ঠিক কোন পথে এগোবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।