এশিয়া কাপে শুভসূচনা করেছে শ্রীলঙ্কা। রবিবার আবুধাবিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সহজ জয় তুলে নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের টার্গেট তারা ৩২ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে। লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা হয়ে ওঠে পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশারার ৯৫ রানের জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৫২ বল খেলেই তারা দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন।
কুশল মেন্ডিস দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে ফেরেন। তার পর মিশারা নামেন ক্রিজে। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। শরিফুল ইসলামের এক ওভারে টানা তিনটি বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
নিসাঙ্কা নিজের ১৬তম অর্ধশতক পূর্ণ করার পর ক্যাচ তুলে আউট হন। তবে তখনই শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ৫০ রান করেন নিসাঙ্কা। অপর প্রান্তে নতুন মুখ মিশারা ৪৬ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন এবং দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডার। দুশমন্থ চামিরা ও নুয়ান তুষারা দুর্দান্ত বোলিং করে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান। প্রথম তিন ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে কোনো রান ছিল না, উইকেট ছিল দুইটি।
শুরুতেই চাপে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিটন দাসের দল। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা চোট থেকে ফেরার পর দারুণ বোলিং করেন। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে ভরসা জোগান জাকার আলি ও শামীম হোসেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি দলকে কিছুটা লড়াইয়ের অবস্থায় নিয়ে যায়। জাকার ৪১ ও শামীম ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।
কিন্তু ১৪০ রানের সংগ্রহ শক্তিশালী লঙ্কান ব্যাটিংয়ের সামনে মোটেই যথেষ্ট হয়নি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, “এই উইকেটে অন্তত ১৬০-১৭০ করা দরকার ছিল। আমরা পাওয়ার প্লেতে চাপে পড়ে যাই এবং সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেটি জিততেই হবে।”
অন্যদিকে ম্যাচসেরা মিশারা বলেন, “আমরা জানতাম টার্গেটটা সহজ। নিসাঙ্কা আমাকে সময় নিতে বলেছিল। পরে সুযোগ পেয়ে শট খেলেছি। দেশের হয়ে জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি।”
এ জয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা এখন মুখোমুখি হবে হংকংয়ের, ম্যাচটি সোমবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে।