স্পেন সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত এই আদেশের অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও সামরিক প্রযুক্তির রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকায় তৈরি পণ্যের আমদানি ও বিজ্ঞাপনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী কার্লোস কুয়ের্পো সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিমান জ্বালানির সামরিক ব্যবহারযোগ্য ট্রানজিটের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হবে। তিনি বলেন, “এই ডিক্রি একটি বড় অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”
সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ কার্যত সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইনি রূপ দিচ্ছে, যা গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের শুরু থেকেই কার্যকর ছিল। তবে আইনটি কার্যকর হলেও পরবর্তীতে পার্লামেন্টে অনুমোদন নিতে হবে। সেখানে সানচেজ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় আইনি চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে তিনি “গণহত্যা” হিসেবে দেখছেন এবং এ বিষয়ে নয়টি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা ২১শ শতাব্দীর সবচেয়ে অন্ধকার ও ভয়াবহ ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।”
সানচেজ আরও বলেন, ফ্রান্সের নেতৃত্বে আয়োজিত এক সম্মেলনের পর ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণ করা জরুরি। তাঁর ভাষায়, “এই সম্মেলন একটি মাইলফলক হলেও এটি সমাপ্তি নয়, বরং শুরু। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
ইউরোপের মধ্যে পেদ্রো সানচেজ ইসরায়েলের গাজা অভিযানের সবচেয়ে কণ্ঠস্বর সমালোচক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তাঁর সরকার মনে করে, এ ধরনের পদক্ষেপই আন্তর্জাতিক সমাজকে ন্যায়সংগত সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে পারে।